মানুষ হিসেবে আমরা দুই ধরনের হয়ে থাকি। কেউ ইন্টোভার্ট আর কেও হইতো এক্সট্রোভার্ট। যে যেমনই হোক না কেন একটা সময় কিন্তু সবাইকেই এক্সট্রোভার্ট হতে হয়। হয়ত একদিন আগে অথবা একদিন পরে। কারণ আমরা একাকী কিছুই করতে পারি না। আমরা বৃক্ষ নই। শুধু বৃক্ষই নিজের উপর নিজেই নির্ভর করে। কিন্তু মানুষ তা পারে না। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে, দরকারে-অদরকারে আমরা অন্যের উপর নির্ভর করি। আমাদের নির্ভর করতে হয়। আর এই নির্ভরশীলতার কারণেই আমাদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হয়। পরিবারের সদস্যরা আমাদের প্রতি খুবই যত্নশীল। তাই আমরা পরিবারের মধ্যে কমিউনিকেশনের ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা কেয়ার করি না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের সবাইকে পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক পর্যায়ে পৌঁছাতে হয়। তাই বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষের বিভিন্ন প্রকারের মানসিকতা বুঝে সঠিকভাবে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পদ্ধতি জানা সবার জন্যই খুবই জরূরী। কমিউনিকেশনের এমন ছোট ছোট কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের বিষয়বস্তু।
আমরা মানুষের সাথে কথা বলার সময় ভাবি হয়ত সে আমার ব্যাপারে অনেক interested. কিন্তু বাস্তবতাটা এরকম না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মানুষ যার ব্যাপারে যত ইন্টারেস্টেডই হোক না কেন নিজের ব্যাপারে তার তুলনায় প্রায় ১০০০ গুণ বেশি interested হয়। এই কারণে সবাই চায় তার শ্রোতা যেন তার কথা খুব আগ্রহ সহকারে শোনে। এই কারণে দেখা যায় শ্রোতা যদি আগ্রহ সহকারে কথা না শোনে তাহলে বক্তা কথা বলার আগ্রহও হারিয়ে ফেলে। তাই কারো সাথে কথা বলার সময় আমাদের এমন ভাব করা উচিত যাতে সে বুঝতে পারে যে আপনি তার সাথে কথা বলাটা খুবই উপভোগ করছেন। কিস্তু কিভাবে করা হয়..???
.
আজ আমি আপনাদের বলে দিব এমন কিছু ট্রিকস যাতে আপনিই হবেন এই বিষয়ে সব থেকে বেশি অভিজ্ঞ।
.
(১) কারো সাথে কথা বলার সময় তাকে তার নামে ডাকার চেষ্টা করুন। যদি তার নামে কোনো উপাধি লাগানো থাকে তাহলে তা উল্লেখ করে ডাকুন। কেননা মানুষের মস্তিষ্ক নিজের নাম ও তার সাথে উপাধি শুনে খুব বেশি আনন্দিত হয়।
.
(২) তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার সময় "আপনি, আপনার, তুমি, তোমার " ইত্যাদি সম্মধোন সূচক শব্দ বেশি ব্যবহার করুন। এতে সে আপনার কথায় বেশি মনোযোগী হবে।
.
(৩) যদি সম্ভব হয় তাহলে তার কর্ম ও পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। এই সম্মন্ধনীয় বিষয়ে পজেটিভ মন্তব্য করুন। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তির কর্ম ও পেশাই তার চিন্তার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এ সম্পর্কে নেগেটিভ মন্তব্য করলে আপনার সম্পর্কে তিনি নেগেটিভ ধারণা করতে পারেন।
.
(৪) তার পরিবারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন। এটা তার নিজ সম্পর্কীয় বিষয়। অধিকাংশ মানুষই নিজের পরিবারের লোকদের ভাল বিষয়গুলো বলতে ও শুনতে পছন্দ করে। তাই তাদের ব্যাপারে ভাল কম্প্লিমেন্ট করুন।
.
(৫) আপনি যে বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে চান সে বিষয়ে তার আগ্রহটা বোঝার চেষ্টা করুন। সে বিষয়ে তার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলুন।
.
(৬) আপনার বিষয়টাতে তার লাভ বোঝানোর চেষ্টা করুন। কারণ সে আপনার জন্যে কিছু করতে আগ্রহী নই। বরং সে নিজের লাভের ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী।
এই হল প্রাথমিক কিছু বিষয়। আর একটা গুরুত্বপূ্র্ণ কথা। লোকদের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। নিজের নামের ব্যাপারে প্রত্যেকের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত সজাগ হয়ে ওঠে। এ কারণে দেখা যায় অন্য কোনো কাজে মগ্ন আছে, অন্য কোনো কথা কানে যাচ্ছে না এমন ব্যক্তিও তার নামটা শুনলেও সজাগ হয়ে ওঠে।
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কমিউনিকেশন স্কিল এর আরো অনেক পোস্ট করা হবে। আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করুন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। ধন্যবাদ। 🙂
আমরা মানুষের সাথে কথা বলার সময় ভাবি হয়ত সে আমার ব্যাপারে অনেক interested. কিন্তু বাস্তবতাটা এরকম না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মানুষ যার ব্যাপারে যত ইন্টারেস্টেডই হোক না কেন নিজের ব্যাপারে তার তুলনায় প্রায় ১০০০ গুণ বেশি interested হয়। এই কারণে সবাই চায় তার শ্রোতা যেন তার কথা খুব আগ্রহ সহকারে শোনে। এই কারণে দেখা যায় শ্রোতা যদি আগ্রহ সহকারে কথা না শোনে তাহলে বক্তা কথা বলার আগ্রহও হারিয়ে ফেলে। তাই কারো সাথে কথা বলার সময় আমাদের এমন ভাব করা উচিত যাতে সে বুঝতে পারে যে আপনি তার সাথে কথা বলাটা খুবই উপভোগ করছেন। কিস্তু কিভাবে করা হয়..???
.
আজ আমি আপনাদের বলে দিব এমন কিছু ট্রিকস যাতে আপনিই হবেন এই বিষয়ে সব থেকে বেশি অভিজ্ঞ।
.
(১) কারো সাথে কথা বলার সময় তাকে তার নামে ডাকার চেষ্টা করুন। যদি তার নামে কোনো উপাধি লাগানো থাকে তাহলে তা উল্লেখ করে ডাকুন। কেননা মানুষের মস্তিষ্ক নিজের নাম ও তার সাথে উপাধি শুনে খুব বেশি আনন্দিত হয়।
.
(২) তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার সময় "আপনি, আপনার, তুমি, তোমার " ইত্যাদি সম্মধোন সূচক শব্দ বেশি ব্যবহার করুন। এতে সে আপনার কথায় বেশি মনোযোগী হবে।
.
(৩) যদি সম্ভব হয় তাহলে তার কর্ম ও পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। এই সম্মন্ধনীয় বিষয়ে পজেটিভ মন্তব্য করুন। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তির কর্ম ও পেশাই তার চিন্তার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এ সম্পর্কে নেগেটিভ মন্তব্য করলে আপনার সম্পর্কে তিনি নেগেটিভ ধারণা করতে পারেন।
.
(৪) তার পরিবারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন। এটা তার নিজ সম্পর্কীয় বিষয়। অধিকাংশ মানুষই নিজের পরিবারের লোকদের ভাল বিষয়গুলো বলতে ও শুনতে পছন্দ করে। তাই তাদের ব্যাপারে ভাল কম্প্লিমেন্ট করুন।
.
(৫) আপনি যে বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে চান সে বিষয়ে তার আগ্রহটা বোঝার চেষ্টা করুন। সে বিষয়ে তার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলুন।
.
(৬) আপনার বিষয়টাতে তার লাভ বোঝানোর চেষ্টা করুন। কারণ সে আপনার জন্যে কিছু করতে আগ্রহী নই। বরং সে নিজের লাভের ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী।
এই হল প্রাথমিক কিছু বিষয়। আর একটা গুরুত্বপূ্র্ণ কথা। লোকদের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। নিজের নামের ব্যাপারে প্রত্যেকের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত সজাগ হয়ে ওঠে। এ কারণে দেখা যায় অন্য কোনো কাজে মগ্ন আছে, অন্য কোনো কথা কানে যাচ্ছে না এমন ব্যক্তিও তার নামটা শুনলেও সজাগ হয়ে ওঠে।
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কমিউনিকেশন স্কিল এর আরো অনেক পোস্ট করা হবে। আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করুন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। ধন্যবাদ। 🙂
0 Comments